খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন
  এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা

তেরখাদার জমজ শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মা !

নিজস্ব প্রতিবেদক 

তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামে জমজ শিশু হত্যার অভিযোগে মা কানিজ ফাতেমা কনাকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে নিহত শিশু দু’টির মা সহ তিনজনকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে অন্য দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও মাকে আটক রাখা হয়েছে থানায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তেরখাদা থানার এসআই মো: এনামুল হক খুলনা গেজেটকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত চার বছর আগে তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খোরশেদের কন্যার সাথে মোল্লারহাট উপজেলার মাতারচর গ্রামের মোল্লা আবু বক্কারের ছেলে মাসুম বিল্লাহর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছরের মাথায় তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা অন্তসত্তা হয়ে পড়েন। এরপর কনাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাচ্চা হওয়ার পর থেকে গত দু’মাস ১১ দিন বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি। বাচ্চা দু’টি প্রচুর কান্নাকাটি করত। এ বিষয়ে কনা স্বামীর সাথে যোগাযোগ করেন। বলা হয়, আগামী মাসে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এর আগে জমজ শিশুকে হত্যা করে কনা।

যেভাবে খুন করা হয় জমজ শিশুকে

মনি ও মুক্তা রাতে কান্নাকাটি করছিল। প্রথমে কনা তাদের দুধ খাওয়ায়। এরপরও তারা থামছিল না। রাত আড়াইটার দিকে বাচ্চা দু’টির মুখে চড় মারে কনা। পরবর্তীতে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর কি করবেন ভেবে পারছিল না কনা। তাই নাটক সাজানোর জন্য বাচ্চা দু’টিকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

নাটক সাজানো হয় যেভাবে

জমজ শিশুদের পুকুরে ফেলে দেওয়ার পর ঘরের দরজা খুলে ঘুম পড়ে কনা। যেন বিষয়টি কেউ আচ করতে না পারে। ঠিক এর দু’ঘন্টা অর্থাৎ রাত চারটার দিকে ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করে সে। পাড়ার লোকজন তাদের বাড়িতে জড়ো হয়। এরপর সবাই জমজ শিশুদের খোঁজ নিতে থাকেন। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে নানী শরিফা খাতুন ও মামা নুর আলম।

হত্যার মোটিভ উদ্ধার হয় যেভাবে

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লাশ দু’টির সুরাতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর ওই পরিবারের প্রতিটি সদস্যর ওপর নজর রাখেন এ কর্মকর্তা। পরবর্তীতে বিকেলে কনা, তার বাবা ও মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কনা অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন এবং কনা জমজ শিশু হত্যার কারণ পুলিশের নিকট ব্যাখ্যা করেন। পরে অপর দু’জনকে ছেড়ে দিয়ে কনাকে আটক রাখে। জমজ শিশু হত্যার দায়ে রাতে বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ১০।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!