তেরখাদা উপজেলার চরকুশলা মোল্যাবাড়ী জামে মসজিদের সামনে, পাতলা দক্ষিণপাড়া মসজিদের সামনে, পাতলা জাফর সিকদারের বাড়ির সামনে, পাতলা আবু তালেব মোল্যার বাড়ির সামনে ও পাতলা আদম শিকদারের বাড়ির সামনে সহ জনগুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে মাটি ও পিচের রাস্তা ভেঙে খালের পানিতে মিশে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। দ্রুত এটির সংস্কার করা না হলে এই ঝুকিপূর্ণ স্থানের রাস্তাগুলি খালে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
হাড়িখালী-সাচিয়াদাহ রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে মাটি ও পিচ রাস্তা ভেঙে খালের পানিতে মিশে যাচ্ছে। কোথাও কোাথাও রাস্তার অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি একটানা বৃষ্টিতে ভাঙনের সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খালের মধ্যে রাস্তার কিছু অংশ ধসে পড়েছে। এলাকাবসী জানান, রাস্তা ভেঙ্গে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এটি সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্কা তাদের। চারদিনের বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি যতদ্রুত সম্ভব মেরামত না হলে চরম সমস্যায় পড়বেন পথচারীরা।
পথচারীরা জানান, রাস্তাটিতে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করেনা, সে কারনে সিএনজি, লেগুনা, ভ্যান ইজিবাইকসহ ছোট যানবাহনের অবাধ চলাচল রয়েছে। এছাড়াও এই এলাকার কৃষকের উৎপাদিত সবজি ও বিভিন্ন ধরনের ফসল মাঝারি ধরনের পিক-আপ ভ্যান গাড়ী যোগে ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরে পৌছানো হয়। রাস্তার যে পরিস্থিতি তাতে অচিরেই এটি খালে মিশে যাবে। এই রাস্তা দিয়ে গোপালগঞ্জ, মোল্লাহাট সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হওয়ায় ব্যাপক চাপ রয়েছে রাস্তাটিতে। এটি দ্রুত সংস্কার না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই রাস্তায় জনসাধারনের চলাচল।
রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন নির্বিঘ্নে চলাচল ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহনে প্রায় হাজার হাজার লোক চলাচল করে।
৪ নং সাচিয়াদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি।
এলজিইডির তেরখাদা উপজেলা প্রকৌশলী ভাস্কর মৃধা জানান, রাস্তা মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, আশা করি দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম