তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিলে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। ত্রুটিপূর্ণ ওই বিল সংশোধনের জন্য এখন তাদের স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব-জোনাল অফিসে ধরনা দিতে হচ্ছে। একদিকে বর্তমানে ঘনঘন লোডশেডিং অন্যদিকে ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
তেরখাদা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় গ্রাহকের সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক। গ্রাহকদের অভিযোগ, উপজেলাজুড়ে বর্তমানে লোডশেডিং থাকায় তুলনামূলক বিদ্যুৎ কম ব্যবহার হচ্ছে। তবুও বেশ কয়েক মাস ধরে দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে বিদ্যুৎ বিল আসছে। লাগামহীন বিদ্যুৎ বিলে ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে অসংখ্য গ্রাহক বিল সংশোধনের অভিযোগ নিয়ে অফিসে যাচ্ছন। ভুতুড়ে বিল প্রসঙ্গে তেরখাদা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব জোনাল অফিসে অভিযোগ করেও তেমন কোনো সমাধান হচ্ছে না। উল্টো অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে গ্রাহককে বোঝাচ্ছেন। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রাহকের সঙ্গে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে।
বিদ্যুৎবিল নিয়ে অভিযোগ করেছেন বারাসাত এলাকার মো. ইনামুল হক বলেন, আগস্ট মাসে বিদ্যুত বিল এসেছে ৯৬৫ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ১২৩৫ টাকা বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক এসেছে। অথচ সেপ্টেম্বর মাসে লোডশোডিং ছিল।
এম এ জলিল সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগস্ট মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২৯৫ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৫৭২ টাকা এসেছে। বর্তমানে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি, অথচ এ মাসে বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তেরখাদা সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. বিদ্যুৎ মল্লিক বলেন, গ্রাহক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, সেভাবেই বিলও তৈরি হয়। অতিরিক্ত বিল নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে এবং বিল সংশোধনের জন্য গ্রাহকরা অফিসে এসে সমাধান পাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএজে