খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ৪ মার্চ, ২০২৫

Breaking News

  দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে নিহত ২
  রাজধানীর শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু
  সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত : আপিল বিভাগ

তেরখাদায় রমজান ঘিরে চড়া সবজির বাজার, ক্রেতাদের ক্ষোভ

তেরখাদা প্রতিনিধি

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই তেরখাদা উপজেলার হাট-বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। কিছু কিছু সবজির দাম গত এক সপ্তাহের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। তবে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, মোকামে দাম বাড়ার কারণেই বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরজমিনে দেখা যায়, বাজারের সব ধরনের সবজির ভালো সরবরাহ রয়েছে। তারপরও গত সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু কিছু সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যে বেগুন গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা সেই বেগুন বেড়ে এখন ৬০ টাকা ও গোল বেগুন ৭০ টাকা, খিরাই ২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪০ টাকা কেজি, প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বেড়ে ৪০ থেকে ৬০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে, আলু ১৮ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া বর্তমানে প্রতি কেজি শশা ৫০ টাকা, কাচা পেঁপে ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, ফুল কপি ৩০ টাকা, বাধাকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ৩৫ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, সিম ৩০ টাকা, রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারে সবজি কিনতে আসা মুস্তাফিজুর শেখ বলেন, রমজান শুরু হয়েছে আর কাঁচাবাজারের প্রতিটা সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর হিড়িক বেধে যায়। কে কত কমাতে পারে। আর আমাদের দেশে এর উল্টোটা। কে কত দাম বাড়াতে পারে সেই প্রতিযোগিতা চলছে। বাজারে এক এক দোকানে এক এক রকম দাম। তাই প্রশাসনের উচিত বিষয়টি তদারকি করা।

জয়সেনা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা যেমন দামে কিনছি সেই মোতাবেক বিক্রি করছি। রমজানকে ঘিরে মোকামেই বেশ কিছু পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেসব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে আমাদেরকে বাড়তি দামে কিনতে হওয়ায় সেই মোতাবেক বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আঁখি শেখ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন স্বাভাবিক থাকে এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। আর্থিক জরিমানাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!