তেরখাদায় গত ছয় মাস মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নেই। এতে চরম ব্যাঘাত ঘটছে উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রমে। ছয় মাস আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পর আর কোনো শিক্ষা কর্মকর্তার পোস্টিং হয়নি তেরখাদা উপজেলায়।
এ অফিসে সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদ ছাড়াও ৭টি পদের মধ্যে ৪টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। একাডেমিক সুপারভাইজার, হিসাব সহকারি ও পিয়নকে দিয়েই কোন মতে চলছে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রুপসা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন পারভীন’কে তেরখাদায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলেও ৩ মাস পর তিনি চাকুরি হতে অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে বটিয়াঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুর রহমানকে তেরখাদা ও রূপসার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এতে শিক্ষা কার্যক্রমে যে ব্যাঘাত হচ্ছে তা পুরোপুরি কাটেনি। ফলে শিক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে যেমন, এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম, প্রধান শিক্ষকদের কাজে সহযোগিতা করা, সরকারি নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুসরণ এবং বাস্তবায়ন করা, বিদ্যালয় পরিদর্শন করা, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। দ্রুত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ শূন্য পদগুলো পূরণের জোর দাবি শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের।
আদমপুর-বলর্দ্ধনা-শালিকদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, ছয় মাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তেরখাদায় শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দরকার।
শহীদপুর খান এ সবুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি। ভোগান্তি নিরসনে উপজেলায় একজন স্থায়ী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কুশলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, উপ-বৃত্তির ওয়েবসাইটে লগইন করার ওটিপি সংক্রান্ত সমস্যায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপ-বৃত্তির আবেদন করতে পারছেনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে দ্রুত একজন স্থায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ ফারুকুল ইসলাম বলেন, তেরখাদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার খালি পদে আপাতত বটিয়াঘাটায় যিনি দায়িত্ব আছেন তাকে অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানান জটিলতা হচ্ছে। চেষ্টা করছি তেরখাদায় শিক্ষা কর্মকর্তার শূন্য পদে কর্মকর্তা দিতে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমাধান হবে।
খুলনা গেজেট/এমএনএস