তেরখাদা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে অবহমান গ্রাম বাংলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য দেখতে ভিড় জমায় হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকালে উপজেলা সদরের ইখড়ি গরুর হাটের পূর্ব পাশে গুজিমারি বিলের বিস্তীর্ণ মাঠে ইখড়ি উত্তরপাড়া যুব আদর্শ ক্লাবের উদ্যোগে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নানা রং ও আকারের ২৪ টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
এ উপলক্ষ্যে এলাকায় বসে গ্রামীণ মেলা। মেলায় হরেক রকমের পণ্য নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা।
উপজেলা সদর এলাকা থেকে আসা দর্শণার্থী মিঠুন মদ্দম বলেন, ‘আগে বিভিন্ন স্থানে খেলাগুলো দেখা যেতো। কিন্তু এখন সচরাচর আর দেখা যায় না। দীর্ঘদিন পরে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে পেরে খুব খুশি লাগছে।’ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ঘোড়ার মালিকরা জানান, ঘোড়া পালন করা অনেক ব্যয়বহুল, তবু গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ও মানুষকে সুষ্ঠু বিনোদন দিতে পারাটাই আমাদের কাছে আনন্দের। আমরা অনেক টাকা ব্যয় করে এই ঘোড়া লালন পালন করি। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা বেশি বেশি না হলে আমরা এই সংস্কৃতি বেশি দিন ধরে রাখতে পারব না।
ঘোড়া দৌড় আয়োজক কমিটির আমিনুল ইসলাম বলেন, সময়ের আবর্তনে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতা বিলুপ্ত প্রায়। আমরা এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। দৌড় প্রতিযোগিতায় বাছাই শেষে সেরা ৪ টি ঘোড়ার মালিককে পুরস্কৃত করা হয়।
চূড়ান্ত লড়াইয়ে ১ম স্থান অধিকার করে নাজমুল শিকদারের ঘোড়, ২য় মমিনুলের ঘোড়া, ৩য় রাব্বির ঘোড়া এবং ৪র্থ শিমুলের ঘোড়া। বিজয়ী ঘোড়ার মালিকদের প্রাইজবন্ড উপহার দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী কওসার আলী, বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন নান্টা, শরীফ নাঈমুল হক, বিল্লাল হোসেন, মিল্টান হোসেন মুন্সি, খান মোস্তাক আহমেদ, আজিবার শেখ, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সোহাগ মুন্সি, শামীম আহমেদ রমিজ, ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম, চৌধুরী আসাবুর রহমান, সাব্বির আহমেদ টগর উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস