সিরিজের একমাত্র টেস্টের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে। তৃতীয় দিন শেষে সফরকারী দলের লিড দাঁড়িয়েছে ২৩৫ রানের। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৪৩ রান। এখনও টাইগারদের কাছে অক্ষত ১০ উইকেট ও দুই দিন। দিনশেষে ২১ রানে খেলছেন শাদমান ইসলাম ও ১৯ রানে অপরাজিত সাইফ হাসান।
তৃতীয় দিন সকালে, ১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৬ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।প্রথম সেশনে মাত্র এক উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। তৃতীয় দিন সকালে এক ঘণ্টা খালি হাতে থাকার পর উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। মেহেদী মিরাজের বলে ৮১ রান করে আউট হন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর।
ওই এক উইকেট হারিয়েই মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সফরকারী দল। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দিনের দ্বিতীয় সেশনে দুটি উইকেট তুলে নেন।
বাঁ-হাতি এই স্পিনারের প্রথম সাফল্য আসে ৮০তম ওভারে। শেষ বলে তাকে সুইপ করার চেষ্টা করেন ডিওন মায়ার্স। বল উঠে যায় ফাইন লেগে। সেখানে দাঁড়ানো মিরাজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে ভুল করেননি। কাইটানোর সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মায়ার্স। তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল টেস্ট বোলাররের পরের শিকার আসে ৮৭তম ওভারে। দ্বিতীয় বলে আবারও তাকে সুইপ করতে যেয়ে বিপদে পড়েন টিমাইসেন মারুমা। সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে শূন্য রানে ফেরেন ১৭ বল খেলা মারুমা। পরের ওভারে রয় কাইয়াকে কট বাহাইন্ড আউট করেন তাসকিন আহমেদ।
যে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান সেটা শেষ করেন মেহেদী মিরাজ। দুই স্পিনারের তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ৫ উইকেটে ২৪৪ রান নিয়ে শেষ সেশন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। নিজের শেষ স্পেলে বিধ্বংসী মূর্তি ধারণ করেন মিরাজ। তুলে নেন তিন উইকেট।
টাকুডজোয়ানাশে কাইটানোকে দিয়ে শুরু। স্বাগতিকদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করা কাইটানো টিকে ছিলেন বহুক্ষণ। ৩১০ বল খেলার পর তার রক্ষণ ভাঙ্গেন মিরাজ। তার গুড লেংথ বলে ফ্লিক করতে যেয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন কাইটানো। জিম্বাবুয়ে হারায় তাদের ষষ্ঠ উইকেট।
দুই ওভার পর মিরাজের শিকার হন ডনাল্ড টিরিপানো। স্কিডার সামলাতে না পেরে এলবিডব্লিউ হন এই টেইল এন্ডার। টানা তৃতীয় ও নিজের চতুর্থ উইকেট নিতে দেরি করেননি মিরাজ। সাত বল খেলা ভিক্টর নিয়াউচিকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের অষ্টম উইকেটের পতন ঘটান তিনি। একই ভাবে ব্লেসিং মুজারাবানিকেও বোল্ড করেন এই অফস্পিনার।
নিশ্চিত করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নিজের অষ্টম ফাইভ-ফর। রেগিস চাকাভবার ব্যাটে ফলোঅন এড়ালেও, নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের বড় লিড।
সাকিব শেষ উইকেট হিসেবে শূন্য রানে তুলে নেন রিচার্ড এনগারাভাকে। মিরাজ ৮২ রানে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। সাকিব ৮২ রানে নেন ৪টি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি