আদ্যোপান্ত না জেনে স্কোর বোর্ডের দিকে তাকালে বিশ্বাস করা দায়, দেশের মাটিতে নয় বরং ‘অপ্রতিরোধ্য’ হয়ে ওঠা নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ দল। কিউইদের মাটিতে এমন ‘পজিটিভ’ বাংলাদেশ দলকে শেষ কবে দেখা গেছে সে নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। তবে এ মুহূর্তে আলোচনায় বাংলাদেশের ব্যাটিং।
তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং লিটন কুমার দাস। মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্তর পর লিটন-মুমিনুলের অর্ধশতকে নিউজিল্যান্ডের করা প্রথম ইনিংসের ৩২৮ রানের খুব কাছে টাইগাররা। বড় কোন অঘটন না হলে লিড আসবে বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৪ উইকেট হারানো সফরকারীদের সংগ্রহ ৩০৭ রান। লিটন ৫১ এবং মুমিনুল ৬১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
মুমিনুল ১৭ এবং লিটন দাস ১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেন। সকালের খোলস বন্দি মুমিনুল মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। লিটনও সমান তালে ব্যাট চালিয়েছেন। তার অর্ধশতক আসে অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে। যদিও ৪০ এর পর বেশ সময় নেন লিটন।
এই সেশনের জোড়া ফিফটির প্রথমটা আসে মুমিনুলের ব্যাট থেকে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে অনেকটাই খোলস বন্দি ছিলেন এই বাঁহাতি। ১৭ রান করতে খেলেন ৯৮টি বল। যেখানে বিরতির আগে মাত্র ১টি বাউন্ডারি ছিল মুমিনুলের, সেখানে বিরতি কাটিয়ে ফিরে আরো ৭টি চারের মার তার ব্যাটে। ১৪৭ বলে ছুঁয়েছেন ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রানের কোটা। পরের ৩৩ রান করতে খরচ করেন ৪৯ বল।
মুমিনুলের পর একই পথে হাঁটেন লিটন। সম্প্রতি টেস্টে ধারাবাহিক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পাকিস্তান সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডে খেলতে নেমেও রানের দেখা পেয়েছেন। লিটনের ফিফটি আসে মাত্র ৯৩ বলে। যেখানে নান্দনিক শটে ৬টি চারের মার।
মুমিনুল-লিটনের জোড়া ফিফটির সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে দুজনে শতক ছাড়ানো অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপে লিডের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।
লিটনের ফিফটির পর শেষ হয় দ্বিতীয় সেশনের খেলা। এই সেশনে কোন উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৮৭ রান। প্রথম ইনিংসে নিউনিল্যান্ডের থেকে মুমিনুল হকের দল পিছিয়ে ২১ রানে।