সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের আজও সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আজও বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
এদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। আজ ওবায়দুল কাদের শিক্ষকদের সময় দিয়েছেন বলেও জানান এই শিক্ষক নেতা। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।
শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে তিন দিন থেকেই কার্যত অচল হয়ে আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন। অন্যদিকে ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভাগ, হল, ইনস্টিটিউট ও প্রশাসনিক ভবনের কোথাও কোনো ধরনের সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে অনেক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে একটু কথা বলুন।’ আমি তার কাছে আমাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরলাম।
তিনি বললেন, ‘আপনারা আরো দুই-তিন জন শিক্ষকসহ সন্ধ্যায় আসুন।’ আমি বললাম, ‘আমার ফেডারেশন আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আছে।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে।’ তবে বেশি লোকজন না নিয়ে যেতে অনুরোধ করেছেন, যাতে কথা বলতে সুবিধা হয়। এখন আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।
খুলনা গেজেট/এইচ