সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন বর্ষীয়ান তৃনমূল নেতা তাপস রায়। পাশাপাশি সোমবার তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান ব্যানার্জির কাছে সরকার পক্ষের মুখ্যসচেতক ও তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি ছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগণার বরানগরের বিধায়ক। এদিন সকালে বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন।
তাপস রায় বলেন, “এত দুর্নীতি, সন্দেশখালি, এত উপেক্ষা সহ্য করা যাচ্ছে না, ইডি অভিযানেও দল পাশে দাঁড়ায়নি।” তার এই পদত্যাগে তৃণমূলের মধ্যে একটা বড়স়ড় সঙ্কট তৈরি হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এদিন তিনি দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, দলের মধ্যে এত দুর্নীতি। সেই দলে আর কীভাবে থাকা যায়। তারপর ১২ জানুয়ারী ইডি আমার বাড়িতে হানা দেন। ৫৫-৫৬ দিন কেটে গেল। মুখ্যমন্ত্রী কোনো খোঁজ নেননি।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাপস রায়ের চলছিল মনমালিন্য। ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। তা নিয়েও দল কোনো দিশা দিতে পারেনি।
দলনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগ্রে তাপস বলেন, ‘শেখ শাহজাহানকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বিবৃতি দিতে পারেন কিন্তু আমার বাড়িতে ইবি অভিযান নিয়ে তিনি একটি বাক্য খরচ করেননি’।
গত ১২ জানুয়ারি তাপস রায়ের বাড়ি ইডি তল্লাশি চালায় তারপর থেকেই দলের সাথে তার দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে। এদিন তাপস দাবি করেন তার দলের কেউ কেউ এই ইডি অভিযানের সাথে যুক্ত।
এরআগে কয়েক মাস ধরে উত্তর কলকাতা তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার নিশানা করে চলেছেন তাপস রায়।
খুলনা গেজেট/ টিএ