খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপ‌দেষ্টা

তীরে এসে তরী ডুবে বিদায় বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লড়াইয়ের পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর তাসকিনের শেষের ঝড়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করেছে শ্রীলঙ্কা।

১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই টাইগার বোলারদের ওপর চওড়া হয় দুই লঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস। যদিও কুশলের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন মুশফিক। তবে উদ্বোধোনী জুটি বড় হতে দেননি পেসার এবাদত। নিশাঙ্কাকে ২০ রানে ফেরানোর ঐই একই ওভারেই আসালাঙ্কাকে ফেরান এই পেসার। এর ঠিক দুই ওভার না যেতেই লঙ্কান শিবিরে আবারো এবাদতের আঘাত। এবার ফেরান গুনাথিলাকাকে।

যদিও ৪ বার জীবন পাওয়া কুশল মেন্ডিস একপ্রান্ত আগলে রেখে দ্রতু রান তোলার চেষ্টা করেন। তবে পঞ্চমবারে এসে আর রক্ষা মেলেনি এই ব্যাটারের। তাসকিনের শিকার হয় ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন কুশল। এরপর শানাকার ব্যাট চওড়া হলেও লঙ্কানদের শেষ রক্ষা হয়ে উঠেনি। শেষদিকে করুনারত্নের ছোট ক্যামিও পর আশিতার ৩ বলে ১০ রানে ভর করে ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। ফলে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলো টাইগাররা। এদিন দলের হয়ে এবাদত নেন ৩ উইকেট, তাসকিনের শিকার ২ উইকেট। মাহেদি এবং মুস্তাফিজ ১ করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অঘোষিত নকআউট এই ম্যাচে দারুণ এক পুঁজিই পেয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট খুইয়ে তুলেছে ১৮৩ রান। তাতে লঙ্কানদের সামনে চ্যালেঞ্জটা দাঁড়াল ১৮৪ রানের।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাটিতে আগে ব্যাট করে জেতার কীর্তি অন্তত শেষ এক বছরে খুব বেশি নেই। তাই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চাইছিলেন টস জিতে ফিল্ডিং করতেই। তবে টস হেরে সে চাওয়া আর পূরণ হয়নি তার। শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশকে।

ADVERTISEMENT

ওপেনিং বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ বহুদিন ধরেই। সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে আজ লাল সবুজের প্রতিনিধিরা ওপেন করতে পাঠায় মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমানকে। আশা জাগানিয়া শুরুর পরও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি, ১৯ রানেই বিদায় নেন সাব্বির রহমান।

তবে মিরাজকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা দারুণভাবেই কাজে লেগে গেছে বাংলাদেশের জন্য। সাব্বিরের বিদায়ের পর রান তোলার দায়িত্বটা নিজ কাঁধে তুলে নেন তিনি। তার ব্যাটে চড়েই মূলত পাওয়ারপ্লে শেষে ৫৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া মিরাজ অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৬ বলে ৩৮ রান তুলে তিনি বিদায় নেন পরের ওভারেই।

এরপর মুশফিক এসে ১৫০০ টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন, তবে ফেরেন এরপরই। সাকিব আল হাসানও রানের গতি বাড়ানোর তাগিদে ফেরেন ২২ বলে ২৪ রান তুলে। ৮৭ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ খানিকটা চাপেই পড়ে গিয়েছিল।

৩১ বলে ৫৭ রান তুলে সেই চাপটা দূর করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর আফিফ হোসেনের জুটি। ২২ বল খেলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আফিফ ফেরেন এরপর। এর দুই বল পরই মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ২৭ রান করে ফিরলে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

এবার বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। ৯ বলে ৪ চারের মারে তিনি খেলেন ২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। শেষে সঙ্গী হিসেবে পান তাসকিন আহমেদকে, মোসাদ্দেকের সঙ্গে তার ৬ বলে এক ছক্কায় খেলা ১১ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে ভর করে ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়ে ফেলে বাংলাদেশ! কিন্তু ম্যাচটা যেটা হলো না!




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!