পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমন এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে যখন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রাজধানীতে প্রচণ্ড তাপদাহে জীবন ওষ্ঠাগত। এই অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।
প্রাথমিক ও মাদ্রাসায় ছুটির তালিকা অনুযায়ী মার্চ মাসের ১০ তারিখ থেকে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় এক মাসের ছুটি শুরুর কথা ছিল। তবে শিখন ঘাটতি পূরণে প্রাথমিকে ১০ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি মাধ্যমিকে ১৫ দিন কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে রোজার মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট হলে দফায় দফায় সিদ্ধান্ত আসতে থাকে। পরে আপিল বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন।
পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ দিন ছুটি কমানো হয়। দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে ২৫ মার্চ থেকে এবং মাদ্রাসায় ২২ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হলেও সবমিলিয়ে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান শুরু হবে ২১ এপ্রিল থেকে।
খুলনা গেজেট/কেডি