দোকানের কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানার তিন মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২২ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দু’জন বিচারক পৃথক আদেশে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মাদক, অস্ত্র ও কোটি টাকাসহ গ্রেফতার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনিরকে’ রোববার সকালে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের পর র্যাবের পক্ষ থেকে তিনটি মামলাও করা হয়। মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে মনিরের বাসায় শুক্রবার রাতে অভিযানে যায় র্যাব। ছয়তলা বাড়িতে শুক্রবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চলে। অভিযানে মনিরের বাড়ি থেকে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, ৪ লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র ও মদের পাশাপাশি ৯ লাখ টাকা মূল্যের ১০ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করেছে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, মনিরের বাড়িতে পাঁচটি গাড়ি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি গাড়ির বৈধ কাগজপত্র নেই বলে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার ওপর সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। এছাড়া বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা, নিকুঞ্জে দুশর বেশি নামে-বেনামে প্লট রয়েছে মনিরের।
রাজউকের সিল নকল করে ভূমিদস্যুতার একটি এবং দুদকের একটি মামলা রয়েছে মনিরের বিরুদ্ধে। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের ‘অর্থ জোগানদাতা’ বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন র্যাব কর্তকর্তারা।
খুলনা গেজেট/কেএম