তিন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১২৫ কোটি (১.২৫ বিলিয়ন) ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা) হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ ১৩ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক সদরদপ্তরে সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চার অর্থবছরে (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৬-২৭) বাংলাদেশের জন্য নতুন যে অংশীদারত্ব কাঠামো (কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক-সিপিএফ) তৈরি করা হয়েছে, পর্ষদ সভায় তা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ অর্থ ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১২৫ কোটি ডলারের ৩ প্রকল্পের মধ্যে কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলারের প্রকল্পটি কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, উদ্যোক্তা তৈরি এবং জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা করবে।
পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলারের প্রকল্পটি বাংলাদেশকে সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে সহায়তা করবে।
আর ২৫ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টেকসই উত্তরণে সহায়তা করবে। এ খাতকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি দূষণ কমাবে, সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াবে এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। চার দিনের জাপান সফর শেষ করে শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১ মে ওয়াশিংটনে সংস্থার সদরদপ্তরে এ অনুষ্ঠান হবে। তার আগে বাংলাদেশের তিনটি প্রকল্পে ১২৫ কোটি ডলার অর্থায়নের বিষয়টি অনুমোদন করল বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে নতুন ‘কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুমোদন দেয়া হলো।
বিশ্বব্যাংক বলছে, তাদের ‘কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) সঙ্গে মিল রেখে, যা উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের বাধাগুলো চিহ্নিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘একটি বৈচিত্র্যময় এবং প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাত গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এ ফ্রেমওয়ার্ক সহায়ক হবে, যা আরও কর্মসংস্থান এবং ভালো কাজের সুযোগ তৈরি করবে, সবার জন্য সমান সুযোগের পথ খুলতে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নেবে এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।’
খুলনা গেজেট/ এসজেড