তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে বাগেরহাটের রামপালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী, পুকুর ও চিংড়ি ঘেরের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ১৪ হাজার ৪শ’ মানুষ।
এলাকার দুর্গতদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ৩৩৩ এ কল করলেই দুর্গতদের বাড়ীতে পৌঁছে যাবে সহায়তা, জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কবীর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গতদের যারাই ৩৩৩ নম্বরে কল করবেন তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিপাত ও সেই সাথে ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে কম বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ঘরবাড়ীর দিক দিয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উজলকুড় ইউনিয়নে। এ উপজেলায় মোট ১৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারমধ্যে ১২টি আংশিক ও ৩টি পুরোপুরি বিধ্বস্ত। এছাড়া গাছপালা পড়েছেও ব্যাপক। অতি বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯শ’ ৩২ হেক্টর জমির ৩ হাজার ৫শ’ ৪২টি মাছের ঘের ডুবে গেছে। তাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ ৮৬ হাজার টাকার। আর ১ হাজার ৩২ হেক্টর জমির ৩ হাজার ২শ ৩৭টি চিংড়ি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। মৎস্য সেক্টরেই শুধু ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। আর অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার। অপরদিকে জলাবদ্ধার শিকার হয়েছেন এ উপজেলার ৩ হাজার ৬৫০টি পরিবারের ১৪ হাজার ৪শ’ জন মানুষ।
মৎস্য খামারিরা জানান, তীব্র বৃষ্টি ও বাতাসে ঘেরের পাড় ধ্বসে পড়েছে ও ভেড়ি তলিয়ে গেছে। নেট-পাটা বাতাসে আলগা হয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। মাঝ সিজিনে এসে এমন বৃষ্টি হওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ঘের মালিক কাজী কামরুল ইসলাম ও তার সহোদর কাজী জামরুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কবীর হোসেন বলেন, দুর্গতদের স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে খাদ্যের পাশাপাশি সকল ধরণের সহায়তা প্রদাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারপরও যাদের প্রয়োজন তারা ৩৩৩ নম্বর কল করলে আমরা খাবার পৌঁছে দেবো তাদের কাছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি