ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক ও নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকার নাইন সায়ের খান ওরফে সামিসহ চার জনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অপর দুই আসামি হলেন আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ। আজ সকালে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের সম্পত্তিগুলো জব্দ করার আদেশ দেন।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেনের ট্রাইব্যুনালে এই সম্পত্তি জব্দের আবেদনটি করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে সম্পত্তিগুলো জব্দ করার আদেশ দেন।
আদালত আদেশে ঢাকার সেনানিবাস, সিলেটের বিশ্বনাথ, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর চাটখিল; এই চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত ১৩ই জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-পরিদর্শক আফছার আহমেদ এই চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১২ সেপ্টেম্বর বিচারক আস শামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেন কার্টুনিস্ট কিশোর, জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি, তাসনিম খলিল, মিনহাজ মান্নান ইমন, রাষ্ট্রচিন্তা নামে সংগঠনের ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া, আশিক ইমরান এবং স্বপন ওয়াহেদ।
তাদের মধ্যে কিশোর, মিনহাজ এবং দিদারুলকে আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা এখন জামিনে আছে এবং অন্যরা পলাতক রয়েছে। যারা পলাতক রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
খুলনা গেজেট/এনএম