হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী দাবি করেছেন, আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তারের সময় ‘গণপ্রতিরোধ’ ও ‘প্রতিবাদ’ রুখতে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। এতে জনগণের কষ্ট হচ্ছে। সরকারের উদ্দেশে বাবুনগরী বলেছেন, ‘দেশের নিম্ন আয়ের গরিব মানুষকে আর হয়রানি ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা (হেফাজত কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য কথিত তালিকা) পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাব। একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না। এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন।’
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বাবুনগরী এ কথা বলেন। বিবৃতিতে রমজান মাসে আলেম–ওলামা ও তৌহিদি জনতার ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিও জানান তিনি।
সম্প্রতি বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতার বিভিন্ন মামলায় সংগঠনের আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, ‘সারা বছরের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য আমল করার সেরা সময়। মাহে রমজান হলো সাহায্য সহানুভূতির মাস। অথচ এই মাসেই বাংলাদেশে জুলুম, গ্রেপ্তার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে শত শত হেফাজতের নেতা–কর্মী , আলেম–ওলামা, ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর।’
তিনি বলেন, ‘রমজানের এই পবিত্র মাসে ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদেরকে দেয়, তখন সরকার ইসলাম প্রচারকদের বন্দী করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে।’
বাবুনগরী দাবি করেন, গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা ‘জেলখানার নোংরা পরিবেশে’ স্বাচ্ছন্দ্যে গোসল, অজু, নামাজ, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করাসহ সাহ্রি ও ইফতার খেতে পারছেন না। তিনি সব মাদ্রাসা ও হেফজখানা খুলে দেওয়ারও অনুরোধ করেন।
হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন সব সময়ই ‘শান্তিপূর্ণ’ ছিল ও থাকবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো সরকারই জনগণের এই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাণ্ডব ও ভাঙচুর’–এর অভিযোগে সারা দেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা।’
সব ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা’ বিনা শর্তে বাতিলের দাবি করে হেফাজত কর্মীদের মুক্তির আবেদন জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই