সাতক্ষীরার তালায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (৯ জুন) বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন উক্ত জরিমানা করেন।
নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। এদিকে বর বাইক থেকে লাফিয়ে পালিয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের দোহার গ্রামে উক্ত ঘটনা ঘটে।
তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, তালার জালালপুর ইউনিয়নের পল্লীস্মৃতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন ছিল শুক্রবার দুপুরে। বরও ছিলেন অপ্রাপ্তবয়স্ক। সে দোহার গ্রামের মনিরউদ্দিন শেখের পুত্র এবং শালিখা কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তথ্য পেয়ে জেন্ডার প্রোমোটার সরদার নাজমুল হোসেন, আবৃত্তি শিক্ষক আসাদুল ইসলাম, উত্তরণ-ওয়ার্ল্ড ভিশন ইয়ুথ এ্যাম্পাওয়ার্ড প্রজেক্টের প্রজেক্ট অফিসার যোয়াকিম মন্ডল, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর আম্বিয়া খাতুন এবং তালা থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে হাজির হন। এ সময় ওই কন্যা ও তার পিতা-মাতাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হয়। আর বর বাইকের পিছন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। শুক্রবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন কনের পিতাকে উক্ত জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। এদিকে ওই ছাত্রীর বাবা ১৮ বছর বয়সের আগে মেয়েকে বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দেন। মহিলা বিষয়ক অফিসের অফিস সহকারী দেবকী রায়, অফিস সহায়ক এস এম জামান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একইদিনে তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের তৈলকুপি গ্রামে আরেকটি বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। ঘটনাস্থলে হাজির হন কিশোর কিশোরী ক্লাবের সাবেক জেন্ডার প্রমোটার অর্পনা দাস, আবৃত্তি শিক্ষক টুপ্পা বিশ্বাস, গ্রাম পুলিশ এবং পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের একটি টিম। এ সময় ওই মেয়ের পিতা মুচলেকা দিতে রাজি হয়েছেন। আগামী রবিবার তাকে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম