অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবায়দা রহমানের রিটের রুল শুনানি পিছিয়ে ২৯ মে ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর তারেক-জুবায়দার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রুল শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন আইনজীবী কায়সার কামাল।
এ সময় হাইকোর্ট বলে, ১৫ বছর আগের মামলা শুনতে আর কত সময় নেবেন।
এ সময় দুদকের আইনজীবী তারেকের মামলা নিয়ে মির্জা ফখরুলের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে আদালতও বলে মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্য দেয়া সমীচীন হয়নি।
তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী আলাদা রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন এবং এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
এরপর রিট মামলাগুলো মঙ্গলবার কার্যতালিকায় আসলে রুল শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করে দেয় হাইকোর্ট।
এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জুবায়দা। ওই সময় ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেয়। একই সঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৩ এপ্রিল বুধবার রিট খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।