যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, আজকে হায়ানার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে আমাদের উদ্ধার করতে হবে। মানুষ ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এদেশের ভোটের অধিকার পূনপ্রতিষ্ঠা করবো। নির্যাতন-নীপিড়নের শিকার তরুণ সমাজের পক্ষে মাঠে নেমেছি। তরুণ সমাজকে আহবান জানিয়েছি আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব। তরুণরা যখন কোন দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে, তখন তরুণদের বিজয় হয়েছে। তারুণ্যের সমাবেশ, তরুণদের জনসমুদ্রে রূপ নিবে। ন্যায় সঙ্গত দাবি নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি, বিজয় আমাদেরই হবে ইনশাল্লাহ।
রোববার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাব লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আগামীকাল সোমবার (১৭ই জুলাই) খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ বাঁচাতে ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছি। সরকার সমাবেশে নানা কায়দায় বাঁধা দেয়। কিন্তু জনশ্রোতের কাছে, তরুণ সমাজের কাছে কোন বাঁধা টিকে থাকে না। বিগত সমাবেশগুলিতে সকল বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের তরুণসমাজ সেটি সফল করেছে। প্রশাসনের কিছু অতি উৎসাহি ব্যক্তি জেলা পর্যায়ে বাস বন্ধের চেষ্টা করছে। শুভবুদ্ধির উদয় হবে তাদের। তারা এই কাজ থেকে বিরত থাকবে। কারণ সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের না। তারা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই রাষ্ট্রটি সবার কোন দলের না। কাজেই বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। আমাদের গণতান্ত্রিক সভা সমাবেশে আপনারা সহযোগিতা করবেন। ইতোমধ্যে আমাদের চারটি সমাবেশ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আমরা করেছি। কোথাও আমাদের সমাবেশে কোন ঝামেলা হয়নি। বরং ‘শান্তির নামে যারা সমাবেশ করে তাদের ১২ জুলাইয়ের সমাবেশেই দেখা গেছে চেয়ার ছুড়াছুড়ি করেছে, তারা অশান্তিতে লিপ্ত হয়েছে। কাজেই আমাদের সমাবেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন ও নগর যুবদলে সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর প্রমুখ।
এছাড়া বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এমএম