শীত জেকে বসেছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বাগেরহাটে। এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরের শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন। হঠাৎ তীব্র ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
গ্রামের দরিদ্র শ্রমজীবী ও দিনমজুরেরা সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। পুরোনো ও ছেঁড়া কাপড়েই অনেককে দিন কাটাতে হচ্ছে। শীতবস্ত্রের অভাবে বয়স্ক এবং শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
স্থানীয় রিকশাচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, শীত এতটাই বেড়েছে, সকালে কাজ করতে বের হওয়া কঠিন। কাজ না করলে তো পেট চলবে না। তবে শীতের কারণে যাত্রীও কমে গেছে।
স্থানীয় দিনমজুর জয়নাল আবেদীন, আমাদের পক্ষে শীতের এই তীব্রতা সহ্য করা খুব কঠিন। ঘরে কোনো গরম কাপড় নেই। কাজ না করলে বাড়িতে খাবার থাকবে না, কিন্তু এই ঠাণ্ডায় কাজ করতে যেতেও পারছি না।
রাহিমা বেগম নামে এক গৃহিণী বলেন, আমার ছোট্ট বাচ্চারা শীতে কাঁপছে। তাদের গায়ে দেওয়ার মতো ভালো কিছু নেই। অনেকেই শীতবস্ত্র বিতরণ করছে শুনি, কিন্তু আমাদের পর্যন্ত কিছুই পৌঁছায়নি।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলিমুজ্জামান বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানে ক্রেতা কমে গেছে। যে-সব পণ্য বিক্রি করতাম, সেগুলো এখন আর আগের মতো চলছে না।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানান, আজ বাগেরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা কমেছে, এটি আনুমানিক দু-তিন দিন থাকবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ