বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় প্রায় সারা দেশে চার দিন অস্বস্তিকর গরমের পরে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা থাকায় নেই প্রখর রোদ।
এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত গত তিন ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সর্বোচ্চ আট মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া নরসিংদী ও নেত্রকোণায় পাঁচ মিলিমিটার, টাঙ্গাইল ও শ্রীমঙ্গলে দুই, সিলেট ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে এক মিলিমিটার এবং চুয়াডাঙ্গা সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
প্রায় পুরো এপ্রিলজুড়ে তাপদাহের পরে মে মাসের শুরুতে স্বস্তি এনে দিয়েছিল টানা বৃষ্টি। এরপর আবারও ফিরে আসে তাপদাহ। গত ১৪ মে আটটি জেলায় তাপদাহ শুরুর পরদিন ৪৮ ঘণ্টার তাপদাহ সতর্কতা ঘোষণা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর ও ফেনী জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, তাপদাহ আরও ৪৮ ঘণ্টা থাকতে পারে।
গতকাল চলতি মেয়াদে দ্বিতীয়বারের মতো ‘হিট অ্যালার্ট’ ঘোষণা করা হয়। তবে শুক্রবার দিবাগত রাতেই গরম কমে সহনীয় অবস্থায় চলে আসে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। আমরা ধারণা করছি, দেশের অধিকাংশ জায়গা থেকে তাপদাহ দূর হবে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দুএক জায়গায় থেকে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে সেটি স্বাভাবিক বৃষ্টি। বর্ষা পূর্ববর্তী মৌসুমে এ রকম বৃষ্টি হয়ে থাকে।’
চলতি সপ্তাহে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে জানিয়ে কবির আরও বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি সোমবারের পরে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটির ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এবার বর্ষা মৌসুম শুরু হতে কিছু দেরি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
নদী বন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত
টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া, বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নৌ বন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নৌ বন্দরগুলোকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
খুলনা গেজেট/এনএম