প্রায় ২০ দিন পর দেশের সব বিভাগেই কেটেছে তাপপ্রবাহ। তবে বেড়েছে বজ্রঝড়ের প্রবণতা। রবিবার (২৩ এপ্রিল) সিলেট বিভাগে নয় জন বজ্রপাতে মারা গেছে। এদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ছাতকে তিনজন, দোয়ারাবাজারে দুজন ও তাহিরপুরে একজন মারা গেছেন। এছাড়া মৌলভীবাজারে দুজন ও সিলেটে একজন মারা গেছেন।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে। আগামী দুই দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল থেকে দেশের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে গত নয় বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর ১৮ এপ্রিল থেকে কমতে শুরু করে, ২৩ এপ্রিল এসে পুরোপুরি কেটে যায়।
খুলনা গেজেট/কেডি