খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

তাপদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে চিংড়ি ঘের, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

এস এস সাগর, চিতলমারী

বাগেরহাটের চিতলমারীতে গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে চিংড়ি মাছের ঘের শুকিয়ে যাচ্ছে। গরম পানিতে মরে যাচ্ছে মাছ। তাই পোনা ছাড়ার মৌসুমে ঘেরে চিংড়ির রেণু পোনা ছাড়তে না পেরে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।

সময় মত পোনা ছাড়তে না পারায় এ উপজেলার চিংড়ি শিল্প ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চিংড়ি শিল্পর সাথে জড়িত এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ রয়েছেন শঙ্কায় । শনিবার (২২ মে) দুপুরে এমনটাই জানান উপজেলার কুরমনি গ্রামের চিংড়ি চাষি রেজাউল দাড়িয়া, বলরাম বিশ্বাস, সুরশাইল গ্রামের মানু শেখ, শুধাংসু মন্ডল ও পাটরপাড়া গ্রামের মুজিবর বিশ্বাস।

তারা জানান, এখন চলছে ঘেরে রেণু পোনা ছাড়ার মৌসুম। ভরা এ মৌসুমে ঘের তৈরি করেও ঘেরে পোনা ছাড়া যাচ্ছেনা । কারণ গরম পানিতে মাছ মরে যাচ্ছে। পোনা ছাড়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। আর এ রকম চলতে থাকলে এ উপজেলার চিংড়ি শিল্প ধংসের দিকে এগিয়ে যাবে।

চিতলমারী উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৩০ টি। যার মোট আয়তন ১৭ হাজার ৮৩৩ একর। এরমধ্যে ১৪ হাজার ৭৫৮ টি ঘেরে গলদা ও ২ হাজার ৮৭২ টি ঘেরে বাগদা চিংড়ির চাষ ও ৬ হাজার ৯০০ টি পুকুরে বিভিন্ন মাছের চাষ হয়। এখানের চাষিরা বছরে ৫৮১ মেট্রিকটন বাগদা ও ২ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন গলদা চিংড়ি এবং বিপুল পরিমান সাদা মাছ উৎপাদন করে থাকেন। এখানে ৭ হাজার ৫০০ জন মৎস্য চাষি ও ২ হাজার ৭০২ জন মৎস্যজীবি রয়েছেন। সেই সাথে এই চিংড়ি শিল্প ও মাছ চাষের সাথে এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য জড়িত রয়েছে।

সুরসাইল গ্রামের অভিজ্ঞ মৎস্য চাষি সোহেব সুলতান সানু জানান, এ উপজেলায় অপরিকল্পিত চিংড়ি ঘেরের কারণে প্রতি বছর কোন না কোন বিপর্যয় হয়ে থাকে। তাছাড়া এ বছর বৃষ্টিপাত একেবারেই কম হওয়ায় ঘেরে তেমন পানি নেই। তাই সময় মত ঘেরে রেণু পোনা ছাড়তে না পেরে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।

শীরামপুর গ্রামের চিংড়ি চাষি তাপস ভক্ত, সুবোধ বাড়ৈ, বিপ্লব বাড়ই, কুরমনি গ্রামের গৌর বাইন, সুরশাইলের আনন্দ বিশ্বাসসহ অনেক চাষি জানান, অনাবৃষ্টির কারণে তারা মহা বিপাকে পড়েছেন। তাই এই শিল্পের ধ্বস ঠেকিয়ে রাখতে হলে চাষিদের পরামর্শ দিতে মৎস্য বিভাগের লোকজনকে এখনই মাঠে নামতে হবে।

এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান মুঠোফোনে জানান, গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপাদাহে চিংড়ি মাছের ঘের শুকিয়ে যাচ্ছে। উঁচু অঞ্চলের অনেক চাষি মাছ ছাড়তে পারছেন না। তবে নিচু এলাকার চাষিদের এ সমস্যা কম। তিনি যে কোন সমস্যায় তার ০১৭১৪-৯৩৯৩০৩ নং মোবাইল ফোনে চাষিদের যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন।

খুলনা গেজেট/এস এস এস/এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!