খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ইউক্রেনে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
  কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু, কিশোরগঞ্জে ৩ জন
  সারা দেশে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা হচ্ছে, যা ঠিক নয়: আইন উপদেষ্টা
  ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসির প্রজ্ঞাপন

তাইজুলের ফাইফারে স্বস্তিতে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন ধার কমছিল টাইগার বোলারদের। দ্বিতীয় সেশনে তো কোনো উইকেটই শিকার করতে পারেনি তারা। তবে শেষ সেশনে এসে রীতিমতো ভেলকি দেখায় স্পিনাররা। তাইজুল ইসলাম-নাঈম হাসানদের ঘূর্ণিতে আটকে যেন রোডেশিয়ান ব্যাটাররা। শেষ বিকেলে ফাইফার পূর্ণ করেন তাইজুল, তাতে স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। হয়ে ফিফটি পেয়েছেন নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস। বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল।

চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই দাপট ছিল জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের। লাঞ্চের আগে জিম্বাবুয়ের কেবল দুই উইকেট তুলে নিতে পেরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। তানজিম হাসান সাকিব এবং তাইজুল ইসলাম ফেরান দুই ওপেনারকে।

দারুণভাবেই বাংলাদেশের বোলিং সামলেছে বেনেট-বেন কারেন জুটি। দুজনে রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৪ করে। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তানজিম সাকিব। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বল কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বেনেট। ততক্ষণে এই জুটি থেকে আসে ৪১ রান।

দলীয় ৭২ রানে বাংলাদেশ তুলে নেয় ২য় উইকেট। তাইজুল ইসলাম ফেরান বেন কারেনকে। ৫০ বলে ২১ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।

৭২ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর দারুণ এক জুটি গড়ে জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে নিক ওয়েলচের সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শন উইলিয়ামস। দুজনে মিলে ৯০ রান যোগ করার পর রিটায়ার্ড হয়ে মাঠের বাইরে যান ওয়েলচ। তার আগেই অবশ্য ব্যাক্তিগত ফিফটি তুলে নেন তিনি। ১৩১ বলে করেন অপরাজিত ৫৪ রান।

ওয়েলচ মাঠের বাইরে যাওয়ায় তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামসের সঙ্গে যোগ দেন ক্রেগ আরভিন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ৩১ বল খেলে ৫ রান করেছেন। আরভিনকে জাকের আলির ক্যাচ বানিয়ে লাঞ্চের পর প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাঈম হাসান।

নিজের পরের ওভারে এসে আবারো উইকেটের দেখা পান নাঈম। এই অফ স্পিনারের করা লেগ স্টাম্পের বাইরের এক বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপের হাতের ধরা পড়েন শন উইলিয়ামস। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬৬ বলে ৬৭ রান।

শেষ বিকেলে রোডেশিয়ানদের কঠিন পরিক্ষায় ফেলেন তাইজুলরা। ১৫ রান করা মাদেভেরেকেও ফিরিয়েছনে এই বাঁহাতি স্পিনার। তাতে ২০০ রানেই ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর ৮১তম ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। চতুর্থ বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। আর পরের বলে রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করেন তাইজুল।

৮ উইকেট পড়ার পর আবারো উইকেটে আসেন রিটায়ার্ড হয়ে উঠে যাওয়া ওয়েলচ। তবে দ্বিতীয় দফায় উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারেননি। তাইজুলের লো হওয়া বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন এই ব্যাটার। এই উইকেট নিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূর্ণ করেন তাইজুল।

এরপর নবম উইকেটে ভালোই এগোচ্ছিলেন তাফাদোয়া সিগা ও ভিনসেন্ট মাসেকেসা। তবে হঠাৎ রান আউটের শিকার হন মাসেকেসা। মিরাজের থ্রো থেকে বল ধরে দ্রুত উইকেট ভাঙেন তাইজুল। তাতে ২১৭ রানে নবম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তখনও দিনের খেলার ৫ ওভার বাকি ছিল। সেই সময়টা দারুণভাবে পার করেছে জিম্বাবুয়ে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!