টানা তৃতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন চীনবিরোধী প্রার্থী উইলিয়াম লাই। অঞ্চলটির ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাইওয়ানের এ নির্বাচনের চীনের সাথে সংযুক্ত হওয়া না হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। তবে চীনবিরোধী প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় এ চীনের দাবির বিরুদ্ধে জনগণের রায় প্রকাশ পেল।
নির্বাচনকে ঘিরে দ্বীপটিতে নানা চাপ শুরু করে চীন। এমনকি যুদ্ধবিমান পাঠানো, রণতরীর মহড়াসহ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে দেশটি। তবে নির্বাচেনের মাধ্যমে দেশটি দেখিয়ে দিয়েছে- তাইওয়ানে চীনের প্রভাব কাজ করে না।
নির্বাচিত হয়ে লি বলেন, আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি কতটা গণতন্ত্র লালন করি। আমাদের গণতন্ত্রে একটি নতুন অধ্যায় লেখার জন্য আমি তাইওয়ানের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক সম্প্রদায় এ বিজয় অর্জন করেছে।
তাইওয়ানে লাই এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাকে চীন বিচ্ছিন্নবাদী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে। তিনি নিজেও তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে দাবি করাকে অস্বীকার করেন।
লাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে আরও দুজন প্রার্থী ছিলেন। তারা হলেন বিরোধী দল কেএমটির প্রার্থী হউ ইয়ো ইহ এবং তাইপের সাবেক মেয়র কো ওয়েন যে। তিনি ২০১৯ সালে গঠিত তাইওয়ান পিপল পার্টি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন বিরোধীদলীয় প্রার্থী।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। কারণ এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটি ওয়াশিংটন ও বেইজিং দুপক্ষের জন্যই কৌশলগতভাবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের ফল চীনের সঙ্গে দ্বীপ রাষ্ট্রটির সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। একই সঙ্গে এই পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এবং সারা বিশ্বের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
খুলনা গেজেট/ এএজে