খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল চীনের বিমানের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে তাইওয়ান বিমান বাহিনী। চীনের মোট ৩০টি বিমান এ সময় তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে।

তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, প্রতিরক্ষা অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করা বিমানগুলোর মধ্যে ২২টি ছিল যুদ্ধবিমান আর বাকিগুলো ছিল ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার ও সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান।

তাইওয়ান বলছে, এ সময় তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও স্বক্রীয় করে এবং চীনের বিমানগুলোকে বের করে দিতে যুদ্ধবিমান পাঠায়।

তবে চীন এখন পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও এ ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে চীন বরাবরই অখন্ডতা রক্ষার মহড়া হিসেবে অভিহিত করে।

উল্লেখ্য তাইওয়ান একটি স্বশাসিত অঞ্চল। ১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধের সময় পরাজিত পক্ষ পালিয়ে গিয়ে তাইওয়ানে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে সরকার প্রতিষ্ঠা করে। বিশ্বের প্রায় সব দেশই এক চীন নীতির আলোকে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।

তবে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও কূটনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। তাইওয়ান সামরিক বাহিনীর প্রায় সকল অস্ত্র কেনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

এদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রেক্ষাপটে এক নতুন বাস্তবতায় ও চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকিতে যুক্তরাষ্ট্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাইওয়ানকে সামরিক উপায়ে একীভূতকরণের যে কোনো চেষ্টায় সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করবে তারা।

চীন বলছে, তাইওয়ান দেশটির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং চীন যে কোনো উপায়ে তাইওয়ানকে মূল ভূখন্ডের সঙ্গে একীভূত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তারা সামরিক উপায়ও বিবেচনায় রেখেছে।

তাইওয়ানও বলছে, চীনের আক্রমণে দাঁত ও নখ দিয়ে তারা দ্বীপটিকে রক্ষা করবে।

চীন প্রায় নিয়মিতভাবেই তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি চীনের প্রায় ৩৯টি যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে। চীনের এমন পদক্ষেপে বরাবরই সতর্ক করে আসছে তাইওয়ান। তবে এখন পর্যন্ত দ্বীপটিকে চীনা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোনো জোরালো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!