বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো বলেছিলেন, “কিছু চিত্রশিল্পী সূর্যকে একটি হলুদ দাগে রূপান্তরিত করে, অন্যরা একটি হলুদ দাগকে সূর্যে রূপান্তরিত করে।” এখান থেকেই বোঝা যায় শিল্পীর নিপুণতা এবং শিল্পের সূক্ষ্মতা ঠিক কোথায়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ৭ম বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী। বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলা স্কুলের তরুণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের নিপুণ ও সুক্ষ্ণ হস্তে শিল্পের এই বৈভবকে বর্ণিল রঙে ফুটিয়ে তুলেছেন চারুকলা প্রাঙ্গনে।
চারুকলা স্কুলের আয়োজনে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।
এবারের প্রদর্শনীতে ২৪০ জন শিক্ষার্থীর প্রায় তিন শতাধিক শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। শিল্পকর্মগুলো মোট ১১টি গ্যালারীতে প্রদর্শিত হচ্ছে । এবারের প্রদর্শনীতে চারুকলা স্কুলভুক্ত তিন ডিসিপ্লিন থেকে তিনজন শিক্ষার্থীকে ‘শিল্পী শশিভূষণ পাল গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের মো. সাইফুল্লাহ আবির , প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের মো. সাইমুম ইসলাম রাফি ও ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের স্বাধীন মণ্ডল। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও ৪৩ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে তাদের শিল্পকর্মের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত।
বহুমাত্রিক এই শিল্পসম্ভারে দেখা মিলছে বিভিন্ন চিত্রকলা, স্থ্যাপত্যকর্ম, ভাস্কর্যশিল্প ইত্যাদির।একেকটি শিল্পকর্ম যেন শিল্প অনুরাগীদের শোনাচ্ছে অজস্র অজানা কাহিনী। শিল্পীরা ক্যানভাসে চিত্রিত করেছে নিসর্গের নান্দনিকতা থেকে শুরু করে জীবন বাস্তবতার চিত্র। মুগ্ধতার হাতছানি ছড়াচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্য ইতিহাস থেকে শুরু করে সমকালীন সময়ের দৃশ্যপটসমূহ। চারুকলার দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শিল্পী এস এম সুলতান, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন,পটুয়া কামরুল হাসানের বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলো।যেগুলো প্রতিনিয়ত নজর কাড়ছে শিল্পপ্রেমীদের ।
খুলনা গেজেট/ টিএ