রাজনৈতিক দলবদল। নির্বাচনে হেরে যাওয়া। সহকর্মী-নেটিজেনদের কটাক্ষের ঘা এখনো শুকায়নি তার। এবার রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুললেন নীলাঞ্জনা পাণ্ডে নামে এক তরুণী। মঙ্গলবার (৪ মে) ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
নীলাঞ্জনা পাণ্ডে রুদ্রনীলের প্রোডাকশন হাউজে কাজ করতেন। তা উল্লেখ করে তিনি লিখেন—‘সত্যিকার অর্থে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি রুদ্রনীল ঘোষের হারে। কয়েক বছর আগে, রুদ্রনীলের কু-প্রস্তাব না মানায় তার প্রোডাকশন হাউজ থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমার প্রাপ্য টাকাও দেওয়া হয়নি। সেদিন ইন্ডাস্ট্রিতে নিউকামার ছিলাম। আজ প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন সেদিন বিচার চাইনি? আসলে তখন ভয় পাইনি, কিন্তু বিচারের জন্য একজন নিউকামারকে কীভাবে এগোতে হবে তা জানতাম না।’
মুঠোফোনে মেসেজ পাঠিয়ে নীলাঞ্জনাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন রুদ্রনীল। তা জানিয়ে নীলাঞ্জনা লিখেছেন, ‘ঘৃণাবশত রুদ্রর নোংরা মেসেজ মোবাইল থেকে ডিলিট করে দিয়েছিলাম। ফলে প্রমাণ ছিল না। আজও বিশ্বাস করি, ভগবানের মারে আওয়াজ হয় না। তার বিচার খুব সূক্ষ্ম বিচার। সেদিন হয়তো রুদ্রনীল প্রভাব খাটিয়ে আদালতে আমাকে পরাজিত করত। কিন্তু আজ জনগণ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। আজ রুদ্রনীল ঘোষ পরাজিত। রুদ্রনীলের পতন সবে শুরু।’
এই অভিযোগের বিষয়ে রুদ্রনীল ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে নীলাঞ্জনা লিখেন, ‘রুদ্রনীল ঘোষ, তুমি হেরেছো বলে তোমার শহর হাওড়া গর্বিত, আনন্দিত। তোমার শহর হাওড়াও তোমাকে তার সন্তান বলতে ঘৃণা বোধ করে। আরো একটি কথা, একটি ছেলে কোনো মেয়েকে ধর্ষণ করে, কু-প্রস্তাব দিয়ে পুরুষ হয় না। তাকে নপুংসক বলা হয়। প্রকৃত পুরুষ সে, যে নারীত্বকে সম্মান প্রদর্শন করে। রুদ্রনীল, এই পোস্টের কথা জানার পর তুমি সাইবার ক্রাইম সেলে যাও, আমার বিরুদ্ধে মামলা কর, আমি সেসবের পরোয়া করি না। কিন্তু মনে রেখো, এই তোমার পতনের শুরু।’
নীলাঞ্জনার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে টলিউডে কানাকানি চলছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি রুদ্রনীল ঘোষ।
খুলনা গেজেট/কেএম