খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েটে) তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে ও চলমান অচলাবস্থাকে দীর্ঘায়িত করতেই কিছু শিক্ষার্থী ও স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে কুয়েট প্রশাসন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এর আগে গত সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ও আবাসিক হল ভ্যাকান্ট করে সিলগালা করে প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কুয়েট প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় দোষীদের শনাক্ত করে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালের গঠিত তদন্ত কমিটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ১৩ এপ্রিল জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েট প্রশাসন বলে, কিছু শিক্ষার্থী ও স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমন কর্মকান্ড থেকে প্রমানিত হয় যে, তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রকৃত অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত এবং চলমান অচলাবস্থাকে দীর্ঘায়িত করতেই আইন অমান্য করে আগামী ১৩ তারিখ হলে প্রবেশ করার অপচেষ্টা চলছে।
এমন অবস্থায়, সকল শিক্ষার্থীকে এই ধরনের অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং কোনো কর্মকান্ডে জড়িত না হতে অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের প্রতি ধৈর্য ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।