খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা
  সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের

তদন্ত কমিটিকে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন ছাত্রলীগ নেতা নাঈম

গেজেট ডেস্ক

পুলিশের নির্যাতনে আহত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন নাঈমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে যান হারুনকাণ্ডে ডিএমপি থেকে করা তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন পুলিশের কর্মকর্তারা।

নাঈমের কাছ থেকে সেদিন বারডেম হাসপাতাল ও শাহবাগ থানায় ঘটা ঘটনার বিস্তারিত শোনেন তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. আবু ইউসুফ।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যায় তদন্ত কমিটি।নির্যাতনের শিকারের পর থেকেই সেখানে চিকিৎসাধীন নাঈম।

এ সময় তার সঙ্গে কমিটির সদস্য অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউ মার্কেট জোন) শাহেন শাহ ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি-মতিঝিল) মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতালে উপস্থিত নাঈমের স্বজন ও সহপাঠীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে নাঈমের পরিবারকে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা এবং দোষী সাব্যস্ত করার আশ্বাস দেওয়া হয়।

মূলত তদন্তের স্বার্থে নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতা নাঈমের জবানবন্দি নিতে হাসপাতালে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কমিটির সদস্যরা।

নাঈম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি। গত শনিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশের মারধরে আহত হন তিনি। এ সময় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনীমও গুরুতর আহত হন।

এদিকে সাময়িক বহিষ্কৃত এডিসি হারুনের স্থায়ী বহিষ্কার ও মারধরের শিকার ব্যক্তিদের ওপর ফৌজদারি অপরাধ করার কারণে গ্রেপ্তার চান মারধরের শিকার আহত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন নাঈম।

আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন দেখা হলে তিনি এ কথা বলেন। পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি থেকে সন্তোষজনক রায় না পেলে মামলা করে আইনি লড়াই চালানোর কথাও বলেছেন তিনি।

তার নাকের একটি হাড় ভেঙে গেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। সূত্র জানায়, আজকে সকালে এক্স-রে রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানান তার নাকের একটি হাড় ভেঙে গেছে।

নাঈম বলেন, ‘সাময়িক যে বহিষ্কার করা হয়েছে এর ওপর আমি কোনো আস্থা রাখছি না। তদন্ত কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে এর পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করে আমি আইনি লড়াই করব। যদি তদন্ত কমিটি থেকে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি স্থায়ী বহিষ্কার করে এবং আমার ওপর যে ফৌজদারি অপরাধ করেছে সেটার জন্য যদি তাকে গ্রেপ্তার করে তাহলে আমি সন্তুষ্ট। না হলে আমি আইনি লড়াইয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটিতে যদি আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় পাই তাহলে আমি মামলা করব না। আর যদি সন্তোষজনক রায় না পাই তাহলে আমি মামলা করব। তার জন্য আমার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’

তিনি সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘মামুন ভাইয়ের ফোনের কারণে গিয়েছি। আগে থেকে কোনো কিছুই জানতাম না আমি। সানজিদা আফরিনকেও সেদিনই সেখানে প্রথম দেখা।’ এডিসি হারুনের রংপুরে সংযুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, সাময়িক বহিষ্কার করলে কোনো এক জায়গায় সংযুক্ত করতে হয়।’

এদিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবস সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ডিএমপি কমিশনার সময় বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!