ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির অনলাইন আবেদন শুরু হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর, যা চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আবেদন শুরুর তারিখ নির্ধারণের পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার সময়ও ঠিক করা হয়েছে, যা শুরু হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি; বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ১ মার্চ, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সব ইউনিটের পরীক্ষাই বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হবে। চারুকলা ছাড়া অন্য তিন ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নম্বর বণ্টন ও পরীক্ষার সময়
চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য ইউনিটগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। কেবল চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং অংকন পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরের।
চারুকলা ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় ঠিক করা হয়েছে। অন্য ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় থাকবে।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলের উপর থাকবে ২০ নম্বর।
আবেদনের যোগ্যতা
ভর্তিচ্ছুদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত রাখা হয়েছে। পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ’র যোগফল ন্যূনতম ৮ হতে হবে যেমন, তেমনই আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩ থাকতে হবে।
চারুকলা ইউনিটের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩ থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি।
খুলনা গেজেট/ টিএ