ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের সাথে দেখা করতে এসে ছাত্রলীগের হামলার মুখে পড়ে পিছু হটেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রদলের ৭ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে ছাত্রদলের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী নীলক্ষেতের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সড়ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যে স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার মুনের নেতৃত্বে লাঠি, স্টাম্প নিয়ে হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হামলায় ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও ৫-৬ জন আরও আহত হয়েছেন। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ছাত্রদলের কর্মীরা।
ছাত্রদলের ঢাবি সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল দাবি করেন, ছাত্রলীগের হামলায় তাদের ১৫-২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার পর স্যার এ এফ রহমান হল এবং বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয়। সে সময় তারা ‘ছাত্রদলের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘ছাত্রদলের আস্তানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘হৈ হৈ রই রই, ছাত্রদল গেলি কই’ স্লোগান দিতে থাকে।
হামলায় এফ রহমান হলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ছাত্রলীগের কর্মী আলী হাসান রিফাত, মেহেদি হাসান, মহিবুল্লাহ লিয়ন, সামি, হৃদয়, তানভীর হাসান শান্ত, আসিফ, মোমিন, শওকত, মেহেদি হাসান শান্ত, আলভী অংশ নেয়।
হামলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন বলেন, ‘আজকে আমাদের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ছিল। স্মারকলিপি দিয়ে আমরা সেখান থেকে হলের দিকে আসছিলাম। এ সময় অন্যপাশে থাকা আমাদের এক কর্মীকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ কারণে তাদের সাথে আমাদের কয়েকজন কর্মীর ঝামেলা হয়েছে।’
আপনাদেরই শুরুতে মারতে দেখা গেছে জানালে তিনি বলেন, ‘যখন আমাদের কর্মীর উপর হামলা হয়েছে, তখন বাকিরা তাদের উপর হামলা করেছে। এখানে একপাক্ষিক হামলা হয়নি। দুই পক্ষ থেকেই হামলা হয়েছে।’
এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্রদলের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিব না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের আমরা প্রতিহত করব। তারা আমাদের এক কর্মীকে আহত করার পর আমরা তাদের প্রতিহত করতে গেছি।’
আহত কর্মীর নাম জানতে চাইলে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মীর নাম কেমনে বলতে পারব? তার নাম জানা নেই।’