বন্যায় সড়ক এবং রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রেলপথ ডুবে যাওয়ায় গতকাল ২৬ ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। ঢাকা থেকে সিলেটের এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সন্ধ্যায় মহাসড়ক থেকে পানি নামার পর ঢাকা থেকে নোয়াখালী, ফেনীর বাস চলাচল শুরু হয়। মহাসড়ক বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখী পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশে প্রায় সাত কিলোমিটার হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (কুমিল্লা জোন) আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না ওই এলাকায় গাড়ি নিয়ে পৌঁছাতে না পারায়। পানির কারণে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে রেলওয়ের অফিস আদেশে বলা হয়, বন্যায় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন সেকশনে মাটি সরে রেললাইন বেঁকে গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে ফাজিলপুর-কালীদহ সেকশনের রেলপথের পাথরসহ স্লিপার সরে গেছে। চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-দোহাজারী-কক্সবাজার একই কারণে রেললাইন বেঁকে গেছে। শায়েস্তাগঞ্জ-লস্করপুর সেকশনের রেলসেতুর গার্ডার পর্যন্ত পানি ওঠায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফেনী স্টেশনে পানি উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে সুবর্ণ ও চট্টলা যাত্রা করতে পেরেছিল। কিন্তু সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস বন্যার কারণে ফেরত আনতে হয়েছে।