রাজধানীতে ৭৩ দেশের চলচ্চিত্র নিয়ে শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ শ্লোগানে এবারের উৎসবে ৭৩টি দেশের ২২৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় সুজান্না লিনডন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘স্প্রিং ব্লোসম’। এ উৎসব চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, “ভেদাভেদ ভুলে সকল মানুষকে একত্রিত করতে পারে চলচ্চিত্র, তাই সমাজের ইতিবাচক ভূমিকা তৈরির জন্য চলচ্চিত্র উৎসব গুরুত্বপূর্ণ।” ওটিটি প্ল্যাটফরমগুলো নিজেদের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক পরিম-লে পরিবেশনার সুযোগ করে দিয়েছে, তাই দেশের নির্মাতাদের ওটিটি প্ল্যাটফমের উপযুক্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বানও জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ট্রাস্টি মফিদুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বমী। এছাড়া বক্তব্য দেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল, নাট্যজন ম. হামিদ প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইসামী বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিকাশে ভারত সবসময় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে এবার বাংলাদেশকে ফোকাস করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে।
উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, শিল্পকলার নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ), বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স এবং সীমান্ত স্কয়ার সিনেপেক্সে। এবারের উৎসবে রয়েছে এশিয়ান ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন ফিল্মস্, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকার বিভাগ। এবারই প্রথম সংযুক্ত হয়েছে ‘লিজেন্ডারি লিডারস হু চেঞ্জ দি ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘ট্রিবিউট’ নামে আরো দুটি নতুন বিভাগ।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন