প্লে অফ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে বেক্সিমকো ঢাকার। তবে প্লে অফ নিশ্চিত করতে ১৮.৩ ওভারের আগে হার এড়াতে হতো ফরচুন বরিশালের। এমন সমীকরণ সম্ভব করেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছে তামিম ইকবালের দল। সেই সঙ্গে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে তারা।
কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে পারভেজ হাসান ইমন নাইম শেখের ক্যাচ মিস করে। তারপর থেকে আর দমিয়ে রাখা যায়নি তাকে। ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ৬০ বলে করেছেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। প্রথম ৪৩ বলে ৫০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান শেষ ১৭ বলে করেছেন বাকি ৫০ রান। শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে ১০৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তরুণ এই ওপেনার। যেখানে সাতটি ছক্কা এবং ৮টি চার মেরেছিলেন।
জয়ের জন্য ১৯৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ঢাকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাইম শেখ এবং সাব্বির রহমান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়েই ৫২ রান তুলে তারা দুজন। পাওয়ার প্লের পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি ১১ বলে ১৯ রান করা সাব্বির।
এদিন স্থায়ী হতে পারেননি দলটির অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং আল আমিন হোসেন জুনিয়রও। মুশফিক ফিরে গেছেন ৫ রান করে আর কোন রান না করেই বিদায় নিয়েছেন আল আমিন। এদিন প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করেছেন বরিশালের স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভ।
টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ঢাকার ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন। তবে সেই চাপ সামলে নিয়েছেন নাইম। শুধুই চাপই সামলে নেননি সেই সঙ্গে ইয়াসির আলী রাব্বির সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়েন। সেঞ্চুরিয়ান নাইমের বিদায়ের পর ভাঙে এই জুটি। আর ২৯ বলে ৪১ রান করেন রাব্বি।
দলের জয়ের জন্য ১ ওভারে ১৭ রানের দরকার হলে তা করতে সক্ষম হয়নি ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। রাব্বির বিদায়ের পর মুক্তার আলী ছক্কা মেরে আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ২ রানের হার দেখতে হয় দলটিকে।
এর আগে শনিবার দুই তরুণ আফিফ হোসেন এবং তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে প্লে-অফে খেলার স্বপ্নে স্কোরবোর্ডে পাহাড়সমান রান পায় বরিশাল। এই দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে বরিশাল স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে ১৯৩ রান ৩ উইকেট হারিয়ে। এছাড়া ৪৩ বলে ৫০ রান করেছেন ওপেনার সাইফ হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বরিশাল-১৯৩/৩ (২০ ওভার) (আফিফ ৫০*, হৃদয় ৫১*, সাইফ ৫০) (রুবেল ১/২৮)
বেক্সিমকো ঢাকা : (নাইম শেখ ১০৫, ইয়াসির আলী রাব্বি , সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩/১৩)