কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকার ‘পাগলা মসজিদ’ নামটি শোনার সঙ্গেই অবচেতন মনে মানুষের সামনে আসে বস্তা-বস্তা টাকা পাওয়ার বিষয়টি। শুধু টাকাই নয়, সঙ্গে সোনা-রূপার অলঙ্কারসহ থাকে বিদেশি মুদ্রাও। প্রতি তিনমাস অন্তর পাগলা মসজিদের সিন্দুক খোলা হয়। সেই সিন্দুকে দানকৃত অর্থ গণনা করে মিলে কোটি কোটি টাকা। পাগলা মসজিদে শুধু টাকা জমা পড়ে- তা কিন্তু নয়। মানুষের মনোবাসনা পূরণের জন্য চিরকুটে ব্যক্তির ইচ্ছার কথা লেখা থাকে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদে ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। এতে ২৮ বস্তা ঠাকা পাওয়া যায়। পরে সকাল ৯টা থেকে টাকা গণনা শুরু হয়। তিন ঘণ্টায় গণনা করে প্রায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এখনো গণনা চলছে। তবে এই সময় দান বক্স থেকে টাকার পাশাপাশি একটি চিরকুট পাওয়া যায়। আর এই চিরকুটে লেখা ছিল বিচিত্র এক চাওয়া। এরই মধ্যে চিরকুটটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
প্রকাশ হওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই। সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, ৪ মাস ১২ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারিসী জানান, সকাল ৭টায় দান বাক্সগুলো খোলা হয়। পরে বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তালার মেঝেতে এনে সকাল ৯টায় গণনা শুরু করা হয়। সেই হিসাবে ৩ ঘণ্টায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে। এই টাকাগুলো নিরাপত্তার মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারিসী এছাড়াও এ সময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
খুলনা গেজেট/জেএম