প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে পরিচালিত একটি ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। শনিবার (৩ মে) ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো যুদ্ধবিমান একটি ড্রোনের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে তারা। আঘাত হানার পর বিমানটি আকাশেই জ্বলে ওঠে এবং পরে সাগরে পড়ে যায়।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন বলছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে শুক্রবার রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর নোভোরোসিয়েস্ক বন্দরের কাছে ইউক্রেনীয় মাগুরা ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে ধ্বংস হয় রাশিয়ার যুদ্ধবিমানটি।
ইউক্রেনের এই দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি সিএনএন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে একজন রুশ সামরিক ব্লগার ইউক্রেনের দাবিকে সমর্থন করেছেন।
‘ফাইটারবম্বার’ নামে ওই ব্লগার টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনীয়রা তিন ডজনেরও বেশি সি-ড্রোন নিয়ে নভোরোসিস্ক এলাকায় হাজির হয়েছিলেন। আমাদের যুদ্ধবিমানটি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর পাইলটরা পানিতে পড়ে যান এবং তাদের ঘিরে ফেলে শত্রুপক্ষের ড্রোন।’
এর আগেও ইউক্রেন দাবি করেছিল, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তাদের তৈরি ম্যাগুরা ভি-ফাইভ সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে দুটি রুশ হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে তারা।
কৃষ্ণ সাগরে মস্কোর নৌবহরের কিছু শক্তিশালী জাহাজের বিরুদ্ধে ড্রোনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এগুলো স্টারলিংক সংযোগের মাধ্যমে দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং কৃষ্ণ সাগরজুড়ে দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য সেটাপ করা যায়।
ইউক্রেনের একজন ড্রোন পাইলট সিএনএনকে জানিয়েছেন, ড্রোনগুলো খোলা সমুদ্রে দেখা বেশ কঠিন, যার ফলে রাশিয়ানদের এসব অস্ত্রকে লক্ষ্যবস্তু করা কঠিন হয়ে পড়ে।
খুলনা গেজেট/এএজে