বাগেরহাট সদর উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নের চুড়ামনি আশ্রায়ন প্রকল্পের পাশ দিয়ে প্রবাহমান যৌখালী সরকারী খাল হতে নিষিদ্ধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করছে একটি চক্র। ফলে আশ্রায়ন প্রকল্প ও সরকারী রাস্তা সহ বিভিন্ন এলাকা এখন হুমকির মুখে পড়তে শুরু করেছে। অতিদ্রুত অবৈধ ড্রেজার জদ্ব পূর্বক তার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে ভাঙনের কবলে পড়বে বলে অনেকের ধারনা।
জানা গেছে, খাঁনপুর ইউনিয়নের চুড়ামনি আশ্রায়ন প্রকল্পের পাশ দিয়ে প্রবাহমান যৌখালী সরকারী খালের বিভিন্ন স্থানে একটি কুচক্রি মহল দীর্ঘ দিন ধরে নিষিদ্ধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করছে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রয় করার কারনে আশ্রায়ন প্রকল্প ও সরকারী রাস্তা সহ বিভিন্ন এলাকা এখন হুমকির মুখে পড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার একটি প্রভাবশালী অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে যৌখালী খাল হতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে (পুকুর নালা খানা খন্দর ভরাট) স্থান ভেদে প্রতি ঘন ফুট ৫/৬টাকা দরে বিক্রয় করছে। প্রশাসনের নাকের ডগার উপর সরকারী খালের বালু অবৈধ ড্রেজার দিয়ে উত্তোলন করে তা বিক্রয় করলেও অদ্যবদী প্রতিকার মুলক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নী সদর উপজেলা প্রশাসন। যে কারনে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে যৌখালী খাল হতে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।
খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিন বলেন, শনিবার সকালে যৌখালী খালের চুড়ামনি এলাকায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে একটি চক্র বালু উত্তোলন করে জনৈক হাকিম মোল্লার পুকুর ভরাট করতে ছিল, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর মৌখিক নিদ্দেশে গ্রাম পুলিশ দিয়ে তা বন্দ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে তা বন্দ করে দিয়েছি।