অর্থপাচারের মামলায় ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের জামিন প্রশ্নে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার কারামুক্তি মিলছে না। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
শুনানিতে রফিকুল আমীনের আইনজীবী বলেন, ‘মাই লর্ড যে গাছ বিক্রি করে টাকাটা দিতে চেয়েছিলাম সেই গাছ আর পাইনি। আর আইনে এই অপরাধে যতটুকু সাজা সে মেয়াদের সাজা এরইমধ্যে খাটা হয়েছে।’
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগ তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো শর্তই সে পূরণ করতে পারেনি। পরে আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে পরে রিভিউ করলে আপিল বিভাগ আজ তা খারিজ করে দিয়েছেন।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের অভিযোগে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় রফিকুল আমীনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। ওই আদেশে বলা হয়েছিলো, ছয় সপ্তাহের মধ্যে ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে সরকারি কোষাগারে। ওই অর্থ জমা দেওয়ার কপি নিম্নআদালতে দাখিল করলেই জামিন পাবেন ডেসটিনির দুই কর্ণধার রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন। তবে আপিল বিভাগের এই আদেশ প্রতিপালন করেনি রফিকুল আমীন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুটি মামলা করে। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ১৯ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম