দুর্নীতির মামলায় চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডেসটিনির গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানির জন্য তিন মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আদালতে হারুনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও রবিউল আলম বুদু। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
হারুন-অর-রশিদের জামিন স্থগিতের জন্য আবেদন করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, দুদকের সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় গত ১২ মে রায় দেন ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত। রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত হারুন-অর রশিদ সাজার বিরুদ্ধে খালাস ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন। পরে ৯ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। সেইসঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে তার মামলার নথি তলব করা হয়। এরপর ২৯ জুন হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।