খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  আরও এক মামলায় খালাস পেলেন ফখরুল-রিজভী-আমির খসরু
  ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে রেণু হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
  ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন
  এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা

ডুমুরিয়ায় হাতিটানা নদী গিলছে অবৈধ স্থাপনায়

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়ায় হাতিটানা নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে পোল্ট্রী খামারসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এতে বর্ষা মৌসুমে নিম্ন এলাকা গুলোতে ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। শোভনা ইউনিয়নের মাদারতলা বাজার থেকে মাগুরখালী ইউনিয়নের কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর দু’পাশ দিয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার জুড়ে এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছে স্থানীয়রা।

জানা যায়, দেশ স্বাধীনের আগে হাতিটানা নদীর মুখে সালতা নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি নিষ্কাশনের জন্য বিকল্প হিসেবে সেই থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে বাইলহারা স্লুইস গেট। কিন্তু মাদারতলা বাজার থেকে শুরু করে ব্রহ্মারবেড়, ঝরঝরিয়া, শুকোরমারি ও কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর দুই পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে এসব স্থাপনা। ফলে বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনে বাঁধা হওয়ায় এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বাইলহারা গেটের মোহনায় কোড়াকাটা এলাকায় নদীটির প্রায় সিংহভাগ অবৈধ দখলে চলে গেছে। এখানে হেতালবুনিয়া গ্রামের কালিপদ মন্ডলের ছেলে স্বদেশ মন্ডল প্রায় এক একর নদীর জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে ৫টি পোল্ট্রী খামার গড়ে তুলেছে। এতে একদিকে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে পানি নিষ্কাশনে বাঁধা হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বসুন সানা, বিশ্বজিত মিস্ত্রীসহ অনেকেই নদী দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে।

এ বিষয়ে স্বদেশ মন্ডল জানায়, নদীর জায়গা দখল করেছি ঠিক। তবে সরকার আমাদেরকে আট বছর আগে ৫০ শতক জমি একসনা বন্দোবস্ত দেয়। মূলত সেখানে পোল্ট্রী খামার করেছি। ৫টি খামারে ৩ হাজার ডিমের মুরগী আছে। এখন আর ডিসিআর দেয় না। সরকার যদি নদী খনন করে তখন আমার খামার সরিয়ে নিবো।

স্থানীয় শিবপদ গাইন বলেন, বর্ষাকালে আমাদের উঠান তলিয়ে যায়। নদী দিয়ে পানি সরবরাহের কায়দা নেই দখলদারদের কারণে। অবৈধ দখল মুক্ত করে নদীটি খননের দাবি করেন তিনি।

শিক্ষক অমরেন্দু মন্ডল বলেন, অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে হাতিটানা নদীটি। এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একটাই পথ এই নদী। বর্তমান বাইরের পাশে নদীটি সিলটেড হয়ে পড়েছে। আর এরসাথে পালা দিয়ে দখল উৎসবে মেতে উঠেছে কিছু অসাধু মানুষ।

এ প্রসঙ্গে মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, সালতা ও হাতিটানা নদী সিলটেড হয়ে যাওয়ায় এবং নদী অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে এসব দখলদার উচ্ছেদ পূর্বক নদী খননের একান্ত জরুরী।

এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ মামুনুর রশীদ জানান, হাতিটানা নদীর জায়গায় অবৈধ স্থাপনাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!