সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ডুমুরিয়ায় মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। প্রত্যেক শিল্পীই চেষ্টা করেছে তার শৈল্পিক গুনকে সুন্দরভাবে শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরার। একারণে প্রতিটা মন্ডপে শিল্পী ও তার দল রাতদিন ঘাম ঝরা পরিশ্রম করেছে।
শনিবার মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা। অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমির মধ্য দিয়ে এ পূজা শেষ হবে। তবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সামনে রেখেই চারদিকে পূর্ব থেকেই চলছে উৎসবের আমেজ। উৎসবের বন্যায় ভাসছে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের আবাল বৃদ্ধ সহ প্রতিটা মানুষ। প্রতিটি মন্ডপে অত্যাধুনিক সাজসজ্জা ও রং বে-রংয়ের আলোর ঝলকানিতে অপরূপ দৃশ্য পরিণত লক্ষ্য করা গেছে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও চুকনগর বাজার সবর্বমঙ্গলা মাতৃমন্দির তীর্থ কমপ্লেক্স পূজা মন্দিরে সর্ববহৎ প্রতিমার পাশাপাশি চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডে আলোর সাহায্যে ভারতের দক্ষিনেশ্বরী কালী মন্দিরের আদলে নির্মিত গেট তৈরি করা হচ্ছে। যা পুরো চুকনগর শহরকে আকর্ষনীয় করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলা কালি মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় মন্ডপের আদলে।
এ বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় মোট ২০৭টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১নং ধামালিয়া ইউনিয়নে ৯ টি, ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ২১ টি, ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়নে ১১ টি, ৪ নং খর্ণিয়া ইউনিয়নে ১৫টি, ৫ নং আটলিয়া ইউনিয়নে ২২টি, ৬নং মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে ৮ টি, ৭ নং শোভনা ইউনিয়নে ১৭টি, ৮ নং শরাফপুর ইউনিয়নে ১৩ টি, ৯ নং সাহস ইউনিয়নে ৭টি, ১০ ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নে ১৩টি, ১১নং ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নে ১২টি, ১২নং রংপুর ইউনিয়নে ২৮টি, ১৩নং গুটুদিয়া ইউনিয়নে ১৭টি ও ১৪নং মাগুরখালি ইউনিয়নে ১৪টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে পূজা উপলক্ষে সকলেই যাতে নির্বিঘ্নে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে তার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন ও ডুমুরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতা তুষার দত্ত বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। এই সম্প্রীতি যাতে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে এ বছর এখনো পর্যন্ত কোন পূজা মন্দির আমাদের কাছে ঝুকি পূর্ণ বলে মনে হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ই্উএনও) শরীফ আসিফ রহমান বলেন,ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা শুরুর আগেই প্রতিটি মন্ডপে ২টি করে সিসি ক্যামেরা ও ৩ স্তর বিশিষ্ট প্রশাসন সার্বক্ষনিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিটা মন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও চৌকিদার বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যাতে শারদীয় দুর্গোৎসব সকলে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে। আমাদের জানা মতে ঝুকিপূর্ণ কোন কেন্দ্র নেই। তবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে প্রায় ৫০টির মত। এখানে সর্বক্ষনিক কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড