ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালি ইউনিয়নে গতকাল বুধবার বিকালে বখাটে স্বামীর অত্যাচারে স্ত্রী মুক্তা রানী বালা(২০)’র মৃত্যুর ঘটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অপর পক্ষের দাবি মুক্তা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের বখাটে যুবক অভিজিৎ মন্ডল(২৪) মাঝে-মধ্যেই তার স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করতো। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবারও অভিজিৎ তার বাড়িতে স্ত্রী মুক্তা বালাকে বেদম মারপিট করে ঘরে আটকে রাখে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার পর মুক্তা বালাকে বিষপান-রত অবস্থায় কিছু-লোক শিবনগর বাজারে পল্লী চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথের কাছে নিয়ে আসেন। সেখানে তার পেট থেকে বিষ বের করার চেষ্টা চলা কালে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন।
মুক্তা’র এ মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার উত্তেজিত লোকজন তার স্বামী অভিজিৎকে শিবনগর বাজার থেকে ধরে ফেলে। এবং মার-ধর দিয়ে মাগুরখালী পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে মাগুরখালী পুলিশ তাকে আটক করে ডুমুরিয়া থানায় এসেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোর-গোল সৃষ্টি হয়েছে।
গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে মাগুরখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, আমি এলাকাবাসীর মুখ থেকে জেনেছি, নেশাখোর অভিজিৎ প্রায়ই তার স্ত্রীকে মার-ধর করতো। এবং গত পরশু মার-ধর করে তার মুখে বিষ দিয়ে আটকে রাখার কথাও শুনেছি। সে অপরাধী হলে আমি তার শাস্তি চাই।
এ প্রসঙ্গে মাগুরখালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, দুপুরে খবর পেয়ে শিবনগর বাজারে চিকিৎসক রবীন্দ্র নাথের কাছে গেলে তিনি বলেন, দুপুর ১২টার পরে ওই মহিলাকে বিষপানরত অবস্থায় আমার কাছে আনা হলে, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যায়। ইনচার্জ হাবিবুর আরও বলেন, আমি মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করা কালে তার মাথায় ও পাছায় ফোলা-আঘাতের ছোট চিহ্ন দেখেছি। আর এলাকার লোকজন মৃতার স্বামীকে ধরে আমাদের কাছে তুলে দিলে তাকে ডুমুরিয়া থানায় আনা হয়েছে। আর লাশ ময়না তদন্তে পাঠানো হবে। এবং কেউ মামলা দিলে মামলা নিবো।
খুলনা গেজেট/কেডি