বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ জেলে মামুন শেখ ও ইসমাইল শেখের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুবলার চরের দক্ষিণে জাহাজভাঙ্গা চর এলাকায় দুটি ট্রলারের মধ্য থেকে ওই জেলেদের মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা।
অন্যদিকে আজ বিকেলে আবদুল্লাহ, রাজুশেখ, ও ইয়াকুবআলী নামের তিন জেলেকে বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার বিএন আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে নিয়োজিত ১৮ ট্রলার ডু্বে নিখোঁজ হন অন্তত ২৭ জেলে। শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নিখোঁজ জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে অভিযান শুরু করে বন বিভাগ, কোস্টগার্ড ও জেলেরা।এ ঘটনায় এখনও অন্তত ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
নিহত মামুন শেখের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার এবং ইসমাইল শেখের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া। মামুন শেখ এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারে এবং ইসমাইল শেখ এফবি জামিলা নামক ট্রলারে ছিল। হঠাৎ উল্টে যাওয়ায় মামুন ও ইসমাইল ট্রলারের পাটাতনের মধ্যে ঢুকে যায়। পরে আর বের হতে পারেনি।
সুন্দরবনপূর্ব বন বিভাগের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় বলেন, শুক্রবার রাতের আকস্মিক ঝড়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা অধিকাংশ জেলেরাই সাঁতরিয়ে নিরাপদ স্থানে। তারপরও বেশ কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হন। শনিবার সকাল থেকে জেলে, বনবিভাগ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলার থেকে মামুন (৪০) ও এফবি জামিলা ট্রলার থেকে ইসমাইল (৩০) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জেলেদের মরদেহ তাদের বাড়িতে নিয়ে রওয়ানা দিয়েছেন জেলেরা বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় আরও বলেন, এখনও ৫টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। ওইসব ট্রলারেও বেশকিছু জেলে ছিল। তারা আসলে কি অবস্থায় আছে সে বিষয়ে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। জীবীত উদ্ধার হওয়া জেলেরাও নিখোজ ওই পাচটি ট্রলারের বিষয়ে কোন কিছু জানাতে পারেননি।
খুলনা গেজেট/ টি আই