দেশজুড়ে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে শীত অনুভূত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতেও জেঁকে বসছে শীত। এ মৌসুমেই দেখা মেলে শৈত্যপ্রবাহের। আর সেটা চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি এ মাসেই ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত দীর্ঘমেয়াদী এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১টি নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ মাসেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চালে ১ থেকে ২টি মৃদু/মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়াও দেশের নদী অববাহিকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।
আর এ মাসে নদ-নদীর অবস্থায় বলা হয়, দেশের প্রধান নদ-নদী সমূহে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য পারে।
এতে আরো বলা হয়, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলকায় বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চবলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
খুলনা গেজেট/এএজে