জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের দুই আদেশে ৫৯ জন নিয়োগ হয়েছে। সেই আদেশ বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যাদের পদায়ন করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট এমন সমালোচনার মুখে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আলী আযমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিয়োগ প্রত্যাশী বঞ্চিত কর্মকর্তারা।
পরে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন আলী আযম। এ সময় বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট। তাই এ দু’টি প্রজ্ঞাপন বাতিল করে মেধা, যোগ্যতা ও সততার ভিত্তিতে নতুন করে জেলা প্রশাসক পদায়ন করতে হবে।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সবাইকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন এবং এ দু’টি আদেশ বাতিলের ব্যবস্থা করবেন।
ডিসি পদ প্রত্যাশী একজন উপসচিব গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে বৈষম্যবিরোধী ব্যবস্থা গড়ে উঠার কথা ছিলো তা এই ডিসি নিয়োগে প্রতিফলিত হয়নি। যাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এদের নিয়োগের মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের চেষ্টা ব্যর্থ হবে।
এদিকে প্রথম দিন সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ২৫ কর্মকর্তাকে ডিসি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়। এ নিয়ে দুই দিনে ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিলো সরকার।
খুলনা গেজেট/কেডি