ডিমের সিন্ডিকেটে আমলাদের সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের। আর এই সিন্ডিকেট বছরে লুটে নিচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বাড়তি উৎপাদনের পরেও ডিমের বাজারের অস্থিরতার বড় কারণ এই খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও তেজগাঁও কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।
চাহিদার তুলনায় বাড়তি উৎপাদন স্বত্বেও প্রতি বছর কেন ঘাটতি? তার নানাবিধ কারণই উঠে এলো পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্যে। সংবাদ সম্মেলনে তাদের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, মজুত করা ডিমে বাড়তি মুনাফার খায়েসে দাম বাড়িয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে বাজারে ছড়ি ঘোরাচ্ছে তেজগাঁওকেন্দ্রিক ডিম সিন্ডিকেটও।
এক ক্রেতা বলেন, এক ডজন ডিমের দাম যদি হঠাৎ করে ৩০ টাকা বেড়ে যায় এক সপ্তাহের মধ্যে, তাহলে অনেক কিছু না। দাম বাড়া সবার জন্যই ক্ষতি।
প্রবাসী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাজারে আসার সময় চিন্তা করি, এই টাকা দিয়ে আমি কি বাজার করবো। অর্ধেক কিনি আর অর্ধেক না কিনেই বাড়ি চলে যাই।
বিপিএর’র সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, তেজগাঁও থেকে একটা মেসেজ দেয়া হয়। যে এসএমএসে যদি বলা হয় আজ ১০ টাকা ডিমের দাম বাড়ছে, তাহলে ১০ টাকা বেড়ে যাবে যদি একদিনে যদি ৫০ কোটি ডিমও উৎপাদন হয়। আবার তেজগাঁও থেকে যদি বলা হয় আজ ডিমের দাম ৬ টাকা। সারা দেশে যদি একটা ডিমও না থাকে, তাও তার দাম ৬ টাকা।
বলা হয়, কেবল সিন্ডিকেটের পকেটেই যায় বছরে অতিরিক্ত ৫ হাজার কোটি টাকা। যেখানে জড়িত মুরগির বাচ্চা ও ফিড সরবরাহকারী সিন্ডিকেটও। যাদের পৃষ্ঠপোষককতিপয় আমলাও।
বিপিএ’র উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের সভাপতি চাষী মামুন বলেন, আমরা এমন একটা রাষ্ট্রে বসবাস করি, যেখানে আমি রাষ্ট্রই খুঁজে পাই না। আমার যে বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার, সেটাও সিন্ডিকেট রাতের আধারে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আসছে বাজেটে পোল্ট্রি শিল্পের প্রান্তিক খামারি ও উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি