খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১১ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

ডিম থেকে ফুটে বের হয়েছে ৩৩ ‘বাটাগুর বাসকা’

মোংলা প্রতিনিধি

পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ এর ৩৩ টি বাচ্চা ফুটেছে। শনিবার (৭ মে) সকালে এ বাচ্চাগুলো ডিম থেকে ফুটে বের হয়েছে। ডিম থেকে বের হওয়া বাচ্চাগুলো কচ্ছপের জন্য তৈরি ‘হ্যাচিং প্যানে’ রাখা হয়েছে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, কচ্ছপটির ৩৪টি ডিমের মধ্যে ১টি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। কচ্ছপের বাচ্চাগুলোকে প্রজনন কেন্দ্রের হ্যাচিং প্যানের মধ্যে রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে এগুলোকে যত্মআত্তির মাধ্যমে বড় করা হবে। ৬ মাস পরে অন্য জায়গায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবনের করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা।

এর আগেও এই বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে পাঁচবার বাটাগুর বাচ্চা ফুটেছে। গত ৬ মার্চ একটি কচ্ছপের দেওয়া ৩৪ টি ডিম থেকে এই ৩৩ টি বাচ্চা ফুটলো।

২০১৪ সালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও লালনপালন কেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকা প্রকল্প চালু করা হয়। ২০১৭ সালে দুটি কচ্ছপ যথাক্রমে ৩১ ও ৩২ টি ডিম পাড়ে। তা থেকে ২৮ ও ২৯ টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপ যথাক্রমে ২৬ ও ২০ ডিম পাড়ে। তা থেকে যথাক্রমে ৫ টি ও ১৬ টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২ টি ডিম থেকে ৩২ টি বাচ্চাই পাওয়া যায়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২ টি ডিম থেকে ৩২ টি বাচ্চা পাওয়া যায়। এসব বাচ্চা বর্তমানে কেন্দ্রে বড় হচ্ছে।

সুন্দরবনের করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির আরো বলেন, ‘গত ৬ মার্চ একটি কচ্ছপ ৩৪ টি ডিম পাড়ে। আমরা যথাযথ নিয়মে ডিমগুলোকে প্রাকৃতিক ইনকিউবেটরে রাখি। সেখান থেকে আজ ৩৩ টি বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। বাচ্চাগুলোকে ‘হ্যাচিং প্যানে’ রাখা হয়েছে। এখানে ওগুলোর পর্যাপ্ত খাদ্য ও যত্ন করা হবে। ৬ মাস পরে অন্য খাঁচায় নেওয়া হবে।

এ পর্যন্ত ৩২৭ টি ডিম থেকে ২৭৪ টি বাচ্চা পাওয়া গেছে। বর্তমানে এই ৩৩টি বাচ্চাসহ বিভিন্ন বয়সী মোট ৩৮৭ টি কচ্ছপ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!