ফার্মের মুরগির ডিমের উৎপাদন খরচ ৫ থেকে ৬ টাকা বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। বলেছেন, এর বাজারদর ১২ থেকে ১৩ টাকা হতে পারে না। দাম কমাতে প্রয়োজনে খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দুই মাস আগে ডিমের দাম লাফ দেয়ার পর আগস্টের শুরুর দিকে তা নেমে এলেও সম্প্রতি আবার বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গাজীপুরে এক কর্মশালায় তিনি এই পরামর্শ দেন। সেখানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা উদ্বোধন করতে যান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটা ডিমের উৎপাদন খরচ ৫ থেকে ৬ টাকা। সেই ডিম সর্বোচ্চ ৮ টাকা বিক্রি হতে পারে। কিন্তু তা না করে সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকা। এটা কেন? একটা ডিমের দাম ১৩ টাকা হবে কেন?’
বাজার নিয়ন্ত্রণে সব মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং জোরদার করার তাগিদ দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘সরবরাহ কমে গেছে বলে দাম বেড়েছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নানা চক্রান্ত করে কিছু হ্যাচারি মালিক ডিমের দাম অস্থির করে রেখেছে। তাই ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সব মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।’
মন্ত্রী চান ভোক্তাদের পক্ষ থেকেও চাপ তৈরি হোক। সেটি কীভাবে হতে পারে তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলে, ‘একটু কষ্ট হবে, প্রয়োজনে ডিম কম খাব।’
দাম বাড়লেও বিদেশ থেকে আমদানি চান না রাজ্জাক। বলেন, ‘ডিম আমদানি করলে আমাদের নির্ভরতা বাড়তে চাই না। তাই বিদেশ থেকে ডিম আমদানির দরকার নেই।’
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব (রুটিন দায়িত্ব) রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল গাফফার খান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম।